২০১৩ সালের পর থেকে সারাদেশে নতুন করে গ্যাস লাইন সংযোগ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তবে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিদিনই নতুন সংযোগ দিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। যাদের কাছে নাজেহাল হয়েছেন বাখরাবাদের অনেক কর্মকর্তা। এতে অবৈধ সংযোগের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার পথের দু’পাশে এবং দক্ষিণ দিকে রামরাইল পর্যন্ত যতো গ্রাম আছে সবখানেই গ্যাসের লাইন সম্প্রসারিত হয়েছে। এই অবৈধ লাইন থেকে শত শত বাড়িঘরে গ্যাস সংযোগ দেয়া হচ্ছে। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে বৈধ সংযোগ নেয়া গ্রাহকেরা। এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপত্তিস্থল হলেও গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ। নতুন করে সংযোগ বৈধ করে দেয়ার দাবি তাদের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসের সবচেয়ে বেশি অবৈধ সংযোগ হয়েছে সদরের সুহিলপুর ইউনিয়নে। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার না হয়েও নিজের ইউনিয়নে ইচ্ছেমতো সংযোগ দিয়েছেন ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহসীন খন্দকার। এ ইউনিয়নে প্রায় ৮শ লাইন দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেন মহসিন খন্দকার
এ বিষয়ে কথা বললে বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা জাহিদুর রেজা জানান, অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে তারা সর্বদাই তৎপর। সরকার ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত নতুন কোনো সংযোগ দেয়া যাবে না।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী এখন পর্যন্ত ২৩টি অবৈধ গ্যাস লাইন ও ৫ হাজার অবৈধ গ্রাহক চিহ্নিত করলেও বাস্তবে এ সংখ্যা অনেক বেশি বলছেন স্থানীয়রা। একদিকে কর্তৃপক্ষ অবৈধ লাইন চিহ্নিত করছে অন্যদিকে মাইলের পর মাইল নতুন লাইন বসিয়ে সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এতে প্রতি মাসে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।