ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খালগুলোতে পলি পড়ে কোনোটা আংশিক আবার কোনোটা পুরোপুরি ভরাট হয়ে গেছে। এসব খাল পুনঃখননে গত বছরের জানুয়ারি মাসে, কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা সদর ছাড়াও কসবা, বিজয়নগর, আখাউড়াসহ ছয় উপজেলায় সোয়া চার কোটি টাকা ব্যয়ে, প্রায় ৪১ কিলোমিটার খনন কার্যক্রম শুরু করে বিএডিসি।
চলতি বছরের এপ্রিলে, আধুনিক সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে এসব খালের খনন কাজ শেষ হয়েছে। এতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারিত হওয়ায় বেড়েছে ফসলের উৎপাদন। পাশাপাশি বাড়ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মাছের প্রজনন ও উৎপাদন। সেই সাথে নৌপথে যাতায়াত সহজতর হওয়াসহ অবকাঠামোগত সুবিধাও পাচ্ছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী রুবায়েত ফয়সাল আল মাসুম বলেন, খালগুলো পুনঃখননের ফলে ৫ হাজার কৃষক পরিবার উপকৃত হবার পাশাপাশি প্রায় ৪৫ কোটি টাকার বাড়তি ফসল উৎপাদিত হবে।
কৃষক ও স্থানীয়দের স্বার্থে জেলার অবশিষ্ট খালগুলো দ্রুত খনন করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।