নোয়াখালী পৌর এলাকার মাইজদী-সোনাপুর সড়কে যাত্রীবাহী বাসচাপায় অজ্ঞাতনামা (৬০) এক নারী ও জান্নাতুল ফেরদাউস (৮) নামের এক শিশু নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসের চালকসহ তিন জনকে আটক করেছে র্যাব, জব্দ করা হয়েছে বাসটি।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাইজদী-সোনাপুর সড়কের ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন, সিলেটের বালাগঞ্জ থানার হামছাপুর গ্রামের মসমিল আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৩১), শাহপরাণ এলাকার পলিয়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আবু তাহের (২৬) ও সুনামগঞ্জ সদরের ওছখালি এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমেদ (১৮)।
নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস সদর উপজেলার চর করমুল্যাহ এলাকার জাকের হোসেনের মেয়ে। তবে নিহত নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। তিনি একজন ভবঘুরে ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনাপুর-মাইজদী সড়কের ইসলামিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন বাসা থেকে ভবঘুরে ওই নারীসহ বের হয় শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস। এ সময় সড়কের সামনে সিলেটগামী সাগরিকা পরিবহনের ওই বাসটি দাঁড়িয়েছিল। অজ্ঞাতনামা ওই নারী এবং শিশু ফেরদাউস যখনই বাসটির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তখনই বাসটি চলতে শুরু করলে দুজন চাকায় পিষ্ট হন। এ সময় বাসটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় তা আর আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘ঘটনার পর র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে বাসটি শনাক্ত করা হয়। পরে রাতে র্যাব-৯, সিপিসি-৩ হবিগঞ্জের সহযোগিতায় আমরা যৌথ অভিযান চালিয়ে বাসসহ চালক ও দুই সহকারীকে আটক করি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’