নামের মতোই তার ডাগরচোখ ছিলো। যে চোখের প্রেমে ডুবে ছিলো আশি-নব্বই দশকে দুই বাংলার সিনেমার অগুনতি দর্শক। সেই সুনেত্রা নেই। চোখ বুঝেছেন খুব নীরবে মাস দুয়েক আগে।
গত ২৩ এপ্রিল ভারতের কলকাতায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সুনেত্রা। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে এই নায়ক-নেতা বললেন, ‘একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা, শৈশবে আমার পছন্দের একজন নায়িকা, যার চোখের প্রেমে পড়তো যে কেউ, তিনি সুনেত্রা। অনেক দিন আগেই বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায় গিয়েছেন। আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন কয়েকবার ফোনে কথা বলেছিলাম। আজকে (১৪ জুন) হঠাৎ শুনলাম তিনি আর নেই, মৃত্যুবরণ করেছেন। নীরবে নিভৃতে চলে গেলেন। এভাবেই হারিয়ে যায় মানুষ, চলে যায়। আপনি ভালো থাকবেন ওপারে। অনেক চলচ্চিত্র দেখব আর আপনাকে মিস করব।’
সুনেত্রা মূলত টলিউডের অভিনেত্রী। ১৯৭০ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার মূল নাম রীনা সুনেত্রা কুমার। থিয়েটারের মাধ্যমেই অভিনয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল এই অভিনেত্রীর। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে নায়িকা হিসেবে তার সর্বাধিক ব্যস্ততা ও সফলতা ঢাকাকেন্দ্রিক ছিলো।
এই অভিনেত্রী চিত্রনায়ক জসীম, ফারুক, সোহেল রানা, আলমগীর, ওয়াসিম, ইলিয়াস কাঞ্চন, জাফর ইকবাল, নাদিম (পাকিস্তান), মান্নাদের বিপরীতে অভিনয় করে উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা।
সুনেত্রার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘বোনের মতো বোন’, ‘যোগাযোগ’, ‘ভুল বিচার’, ‘সাজানো বাগান’, ‘শুকতারা’, ‘সুখের স্বপ্ন’, ‘লায়লা আমার লায়লা’, ‘শিমুল পারুল’, ‘ভাবীর সংসার’, ‘আমার সংসার’, ‘ধনরত্ন’, ‘নির্দয়’, ‘সাধনা’, ‘আলাল দুলাল’, ‘রাজা জনি’, ‘বাদশা ভাই’, ‘ছোবল’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘দুঃখিনী মা’, ‘নাচে নাগিন’, ‘সর্পরাণী’, ‘বিক্রম’ প্রভৃতি।