১০ অক্টোবর। শনিবার। রাত ৯টা। ধর্ষক ও ধর্ষিত নারীদের উদ্দেশ করে নিজের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে বক্তব্য দিয়ে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন দেশের আলোচিত ও সমালোচিত চলচ্চিত্র মুখ অনন্ত জলিল। সেখানে ধর্ষণের অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন নারীদের অশালীন পোশাক।
এই ঢালিউড চিত্রতারকার মতে, ধর্ষণের জন্য নারীর পোশাকই দায়ী। ৬ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের সে ভিডিওতে অনন্ত দাবি করেন, শালীন পোশাক পরা নারী কখনোই ধর্ষণের শিকার হন না। একজন নারীর শরীর দেখে খারাপ স্বভাবের লোকজন ধর্ষণের উস্কানি পায়।
১১ অক্টোবর। শনিবার। বিকেল পৌনে ৩টা। অনন্তের এমন বক্তব্যের পর তাকে বয়কট করেন মেহের আফরোজ শাওন। দেশের একজন চলচ্চিত্র ও মিডিয়াকর্মী এবং স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশের নারীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অসংলগ্ন বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও বার্তা দেয়ার জন্য অনন্তকে বয়কটের আহ্বান করেন তিনি।
প্রথম ভিডিও বার্তাটি সমালোচনায় ঠাঁসা পড়লে ওই দিন দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৬ মিনিটের প্রথম ভিডিওটি সরিয়ে নেন অনন্ত। নারীর পোশাক সংক্রান্ত সব মন্তব্য মুছে দিয়ে ভিডিও সম্পাদনা করে ক্ষমা চেয়ে ৩ মিনিটের নতুন ভিডিও আপলোড করেন তিনি।
১২ অক্টোবর। রবিবার। সমালোচনায় কোণঠাসা অনন্ত আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৫ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের নতুন আরেকটি ভিডিও বার্তা আপলোড করেন নিজের ফেসবুক পেজে। সেখানে ধর্ষণের জন্য নারীদের পোশাককে দায়ী না করে পুরুষদের বিকৃত মানসিকতাই দায়ী করেন অনন্ত।
ধারাবাহিক তিনটি ভিডিও বার্তাতে নানা পক্ষ বিপক্ষের আলোচনা সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি তিনি যেমন চেয়েছেন ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষের দাবিটাও একই কাতারে। উদ্দেশ্য এক হলেও ধর্ষণ বিষয়ে কিছু চিন্তার বৈপরীত্য হয়তো অনেক প্রশ্নের সহজ উত্তর দিয়ে দেয়।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি