হঠাৎ করে ফুড পয়জনিং হলে যা করবেন, অনেক সময় দেখা যায় হুট করেই বমি, পাতলা পায়খানা, জ্বর, পেটব্যথা শুরু হয়। যদি কোনো খাবার খেয়ে এমন হয় তাহলে বুঝবেন ফুড পয়জনিং। অস্বাস্থ্যকর খাবার, জীবাণুযুক্ত খাবার, ময়লাযুক্ত থালাবাসনে খাবার খেলে এগুলো থেকে ফুড পয়জনিং হতে পারে বলছেন চিকিৎসক। হঠাৎ ফুড পয়জনিং হলে কী করবেন এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন চিকিৎসক পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার।
আখতারুন নাহার বলেন, রাস্তাঘাটের খোলা খাবার, বাসি-পচা খাবার খেলে সাধারণত কেউ ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয়। যদি সময়মতো এর চিকিৎসা করা না হয়, তবে এ থেকে পানিশূন্যতা হতে পারে। কিডনি অকেজো হয়ে পড়তে পারে। শরীরের যেকোনো অঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। অনেক সময় এটি মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যে কারণে ফুড পয়জনিং হয়
হঠাৎ করে ফুড পয়জনিং হলে যা করবেন, সাধারণত বাসি-পচা, অস্বাস্থ্যকর ও জীবাণুযুক্ত খাবার এবং অনেকক্ষণ গরমে থাকার ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
গরম বা অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরের ভেতরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়। এ জন্য অনেকেই রাস্তার তৈরি শরবত খেয়ে ফেলে। এ থেকে ফুড পয়জনিং হতে পারে। কেননা, রাস্তাঘাটের খাবার বেশির ভাগ সময় পরিষ্কার থাকে না।
গরমে ঘরের খাবারও যদি অনেকক্ষণ ধরে বাইরে রাখা থাকে, তাহলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ থেকেও ফুড পয়জনিং হতে পারে।
খাওয়ার আগে হাত ভালো করে না ধুলেও এই সমস্যা হতে পারে।
খাবারের জন্য ব্যবহৃত থালাবাটি ভালোভাবে না ধোয়ার ফলে এ সমস্যা হতে পারে।
আড়ও পড়ুন: কত টাকার মালিক ঐশ্বরিয়া?
ফুড পয়জনিং প্রতিরোধে
ফুড পয়জনিং হলে চিকিৎসা
আক্রান্ত হলে ডাবের পানি, স্যালাইন, শরবত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। অবস্থা বেশি খারাপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগী যদি মুখে না খেতে পারে এবং অবস্থা যদি খুব জটিল হয়, তবে চিকিৎসকেরা শিরার মাধ্যমে স্যালাইন দিয়ে চিকিৎসা করে থাকেন। কিছু রোগীর বেলায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফুড পয়জনিং রোধে নিজের সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। কোনো ভাবেই ফুড পয়জনিং হলে স্বাভাবিক ভেবে ঘরে বসে থাকা জানে না। অবস্থা বেশি খারাব হলে হাসপাতালে যেতে হবে।