এখন আর শুধুমাত্র শীতকালে নয়, সারা বছরই খুসকির সমস্যা লেগে থাকে। অতিরিক্ত দুষণ, ধুলো, ময়লার কারণে চুলের সর্বনাশ হয় অকালেই। তার উপর খুসকি হল চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বিরাট একটা সমস্যা। অত্যধিক মাত্রায় চুল ঝরে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া বা বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাল্প ইনফেকশন-এর জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী এই খুসকি।
খুসকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু বা লোশন ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এগুলোতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে কখনো কখনো উল্টে চুলেরই ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আর তাতে অকালে টাক পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। জেনে নেয়া যাক এমন বেশ কয়েকটি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়, যেগুলো সামান্য খরচে খুসকির সমস্যা দ্রুত দূর করতে পারে কোনো রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।
নারকেল তেল: নারকেল তেল খুসকির প্রকোপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। নারকেল তেল চুলের গোড়া ময়েশ্চারাইজ করে খুসকি এবং স্ক্যাল্প ইনফেকশনের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে অন্তত দুবার চুলের গোড়ায় সামান্য উষ্ণ নারকেল তেল দিয়ে মালিশ করতে পারলে খুসকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।
টকদই: খুসকির সমস্যা থেকে বাচঁতে টকদই বেশ কার্যকরী। খুসকি দূর করতে টকদই মাথার ত্বকে মিনিট দশেক ধরে ভালোভাবে মালিশ করুন। এরপর ১০ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। খুসকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে অন্তত দুবার এইভাবে চুলে টকদই ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
পেঁয়াজের রস: দুটো মাঝারি মাপের পেঁয়াজ ভালো করে বেটে এক মগ পানিতে (অন্তত ৩০০-৩৫০ মিলিলিটার পানিতে) মিশিয়ে নিন। মাথায় এই পেঁয়াজের রস ভালো করে মাখিয়ে মিনিট পনেরো মালিশ করুন। এরপর ৫ মিনিট রেখে গমর পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দু-তিনবার পেঁয়াজের রস মাথায় মাখলে খুসকির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাবেন।
রিঠা: চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে রিঠা অত্যন্ত কার্যকরী। খুসকির সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রেও অনেক কার্যকরী। রিঠা পাউডার বা রিঠা সিদ্ধ পানি চুলের ত্বকে লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত দুবার রিঠার জল মাথায় মাখলে খুসকির সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন।