বিবাহিত জীবন নিয়ে একেক জনের অভিজ্ঞতা একেক রকম। কেউ সংসারে সুখী, কেউ হয়তো অসুখী! তাই বলে কি ভালো থাকার চেষ্টাটুকুও করবেন না। গোমরা মুখ করে হতাশায় দিন কাটাবেন? গবেষণা কিন্তু বলছে, আপনি হাসিমুখে থাকলেই দাম্পত্য জীবন হবে সুখের। এজন্য নিজে খুশি থেকে সঙ্গীকেও রাখতে হবে হাসি-খুশি। জেনে নিন গবেষণা কী বলছে-
>> যখন আপনি ব্যক্তিগত বা কর্মজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন; তখন বিষয়টি লুকিয়ে রাখবেন না। সঙ্গীকে জানিয়ে দিন। কষ্টের সময় মন উজার করে কারো সঙ্গে কথা বললে হালকা হওয়া যায়।
>> এ ছাড়াও আপনি যদি একাই কষ্ট পান, তাহলে আপনার সঙ্গী কোনো বিষয় না জেনেই নিজেকে অপরাধী ভেবে ভুল করবেন। এজন্য সমস্যার ব্যাপারে কোনো বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছে না গিয়ে স্বামী-স্ত্রী মিলেই সমাধান করুন।
>> অনেক সময় দেখা যায়, আত্মীয়-স্বজন বা পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে সঙ্গী সম্পর্কে কোনো মন্তব্য শুনে মন খারাপ করে থাকেন।
>> কোনো মানুষই পারফেক্ট হয় না। ফর্সা-কালো, লম্বা-খাটো কোনো ব্যাপার নয়। এগুলো নিয়ে দীর্ঘশ্বাস না ফেলে না শোনার ভান করে এড়িয়ে যান। তবেই আর সব দম্পতির চেয়ে আলাদা থাকবেন।
>> শুধু যে কারণেই হাসতে হবে তা কিন্তু নয়, অকারণেও হাসতে পারেন। এজন্য রাতে কিছুটা সময় বের করে নিন; হতে পারে ৫-১০ মিনিট। এ সময়টুকু স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই প্রাণ খুলে হাসুন।
>> কোনো বই, কৌতুক বা সিনেমা দেখেও হাসতে পারেন। শারীরিক সুস্ততায় হাসির ভূমিকা অনেক। হাসলে শরীর থেকে হ্যাপি হরমোন নিঃসৃত হয়। এজন্য ব্যক্তিগত জীবনের স্ট্রেসও অনেক কমে যায়।
>> গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রাণ খুলে হাসেন; তারা পরস্পরের অনেক কাছাকাছি থাকেন। কোনো সমস্যা কিংবা ঝগড়া হলেও তারা আলাদা থাকতে পারেন না।
>> এমন দম্পতির বন্ধন অটুট হয়। সুখের দিনেও তারা যেমন একে অন্যের পাশে থাকেন; ঠিক দুঃসময়েও শক্ত হাতে দু’জন সমাধান করেন।