করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক ব্যবহারসহ সব অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন তিনি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সব অনুষ্ঠান সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। পাশাপাশি গত বছর মানুষের পাশে যেমন দাঁড়িয়েছেন, তেমনি সামনেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষ যেন কষ্টে না থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা যা করার করব। কেউ যেন মাস্ক না পরে বাহিরে যায়। সকলকে অবশ্যই নিরাপদ দূরত্ব মানতে হবে। অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য।
করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে মাঠে সক্রিয় হতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে পাঁচ দেশের প্রধান এসেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ২৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছাবার্তা আমরা পেয়েছি। এটা জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এটাই আমাদের সার্থকতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবুজ বাংলা আরও সবুজ করতে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এটাই জাতির পিতার স্বপ্ন। তার স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব, এটাই প্রতিজ্ঞা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আমাদের প্রতিজ্ঞা হলো, বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। আমরা সেই ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু তার সংবিধান ও আইনে যে মৌলিক নির্দেশনা রেখে গেছেন, আমরা সে আলোকেই পথ চলছি। তার সব কাজ পূর্ণ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর দেশ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে ভিন্ন খাতে নেওয়া হয়েছিল। ৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছিলাম। তারপরও চক্রান্ত থামেনি। ২০০১-এ আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। কিন্তু ফল ভালো হয়নি। পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিভিন্ন খাতে পিছিয়েছে বাংলাদেশ।’
স্কুল-কলেজ খোলার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্কুল-কলেজ খুলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়েছে। তাই এখন না খুলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ঈদের পরে খুলব।’
তবে করোনার টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।