পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। একইসঙ্গে কয়েক মাসের মধ্যে দৃশ্যমান জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে বলে দেখতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বায়িং হাউজের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আপনারা ১৮ দিন হলো দায়িত্ব নিয়েছেন, সেখানে যে সংস্কারের কথা বলেছেন সেটা কি দৃশ্যমান হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই দৃশ্যমান হয়েছে। অনেক বিষয়ই দৃশ্যমান। যেমন খেলাপি ঋণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যেসব ব্যাংকের সমস্যা ছিল সেসব ব্যাংকগুলো রিঅর্গানাইজ (পনুর্গঠন) করা হচ্ছে। লিকুইডিটির যে সমস্যা ছিল সেটা সমাধান করেছে গভর্নর।
তিনি বলেন, আমরা অলরেডি বলে দিয়েছি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। একই সঙ্গে সংস্কারের বিষয়ে কথাবার্তা বলেছি, এগুলো একেবারে দৃশ্যমান।
তিনি বলেন, আলু, পেঁয়াজের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছি, এগুলো যাতে এনসিওর করে সেটার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মাছ, মাংস, ডিমের বিষয়ে কথা বলেছি, বাজার মনিটরিংয়ের কথা বলেছি। কোনক্রমেই জানি ওরা রপ্তানি বেড়ে যায়, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, সেটার নেতিবাচক ইফেক্ট যেন ভোক্তাদের ওপর না পড়ে। আর বাকি যেটা করার কথা সেটা সংশ্লিষ্টরা করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জিনিসপত্রের দাম যে কমছে না, সেটা অনেকগুলো কারণে দাম বেড়ে গেছে। তা চট করে টেনে নামিয়ে আনা যাবে না। তবে দৃশ্যমান কমেছে কিনা সেটা কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পারবেন।
বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তারা বলেছে ডিরেক্টর ছাড়া বায়িং হাউজের মাধ্যমে অনেক সময় অর্ডার দেওয়া হয়। রপ্তানির ক্ষেত্রেও সহায়তা করে। এরকম কিছু কিছু ব্যাপার রয়েছে। যেমন ইপিবির রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক, অর্ডারের বিষয়ে সমস্যা সমাধার করলে রপ্তানি বাড়বে। আমরা বলেছি রপ্তানি আরো বেড়ে ৫০ বিলিয়ন হবে, তারা বলেছে ১০০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। আমি বলেছি এটা আমরা দেখবো, যেটা ভালো হয় সেটা করবো।