আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে চালানো এই হামলায় আরো ১৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানান কাবুলের একজন ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার বরাতে জানা যায়, তালেবানের এক সূত্রের পাওয়া খবর অনুযায়ী হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের গেটের বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৭৫ প্রাণ হারিয়েছেন।
জানা গেছে, কমপক্ষে ২৮ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই আফগানিস্তানের বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া মার্কিন নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর ১৩ সদস্য, দুজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং আরেকজন ব্রিটিশ নাগরিকের শিশু মারা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাবুল বিমানবন্দরের আবে ফটকে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। তাতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও তাদের আফগান মিত্রদের হত্যা করতে তারা হামলা চালিয়েছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, কাবুল বিমানবন্দরের বিস্ফোরণ দু’টি ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। তিনি জানান, সেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষের জটলা ছিল। তারা সবাই আফগান ছাড়ার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন৷ মুহূর্তেই সব এলোমেলো হয়ে যায়। বিস্ফোরণের পর গোলাগুলির শব্দও শোনা যায়।
কাবুলে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘যারা কাবুলে মার্কিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদেরকে অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হবে।’ বাইডেনের এমন হুশিয়ারির একদিন পরই ড্রোন হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।