তিনি গঞ্জালো হিগুয়েইন। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৯ সালে। অবসর নেওয়ার আগে আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলেছেন ৭৫ ম্যাচ, করেছেন ৩১টি গোল। আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় তার অবস্থান পঞ্চমে। খেলেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। আছে বিশ্বকাপ হ্যাটট্রিকও। তবে এসব কীর্তির জন্য নয়, আর্জেন্টিনার সাবেক এই স্ট্রাইকারকে অনেকেই মনে রাখেন জাতীয় দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করার জন্য।
২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে গোলের নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেন হিগুয়েইন। বিশ্বকাপ ফাইনালের পরের বছর কোপা আমেরিকা ফাইনালেও সুযোগ পেয়ে গোল করতে পারেননি হিগুয়েন। এরপর ২০১৬ কোপা আমেরিকা ফাইনালেও একই গল্প। এই তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে আর্জেন্টিনার হারের জন্য অনেকেই দায়ী করেন হিগুয়েইনকে।
তবে সেসব পুরোনো গল্প। গত ৩ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন এই স্ট্রাইকার। এই মৌসুম শেষেই ফুটবল থেকে অবসর নেবেন ৩৪ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন তারকা।
ইন্টার মায়ামির হয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিগুয়েইন। নভেম্বরে শেষ হবে সকারের চলতি মৌসুম। তবে ইন্টার মায়ামি যদি প্লে অফে উঠতে না পারে, তাহলে এ মাসেই ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলবেন হিগুয়েইন।
ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে ভেজা চোখে হিগুয়েইন বলেন, ‘ফুটবলকে বিদায় জানানোর দিনটা চলেই এল। এই পেশা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, ভালো ও খারাপ সময়ের মধ্যে গিয়েছি, কিন্তু এ জন্য নিজেকে সুবিধাপ্রাপ্তই মনে হয়েছে।
হিগুয়েইন ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছেন ইউরোপিয়ান ফুটবলে। ক্যারিয়ারের শেষে এসে খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে। তবে ক্লাব ফুটবলে যেমনই খেলেন না কেন হিগুয়েইন, এখনো আর্জেন্টিনার আক্ষেপের গল্প লিখতে গেলে সমর্থকেরা তাকেই দোষেন।
২০১৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা শেষ ১৬ থেকে বাদ পড়ার পর জাতীয় দল থেকে অবসর নেন হিগুয়েইন। দেশের হয়ে কোনো শিরোপা না জেতার আক্ষেপটা থাকবে হিগুয়েইনের।