কাতারে মরুর বুকে ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব ও সর্বাধিক মর্যাদার মঞ্চ বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসরটি পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। যা আলবিসেলেস্তাদের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট আর মেসির ক্যারিয়ারে দিয়েছে পূর্ণতা। সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মাধ্যমে নিকট ভবিষ্যতের সকল অর্জনও একপ্রকার দখল করে নিয়েছেন মেসি। সেটি যেন আবারও প্রমাণিত হলো লরিয়াস অ্যাওয়ার্ড জয়ের মাধ্যমে।
সম্মানজনক পুরস্কারটি দ্বিতীয়বারের মতো উঠেছে আর্জেন্টাইন মহাতারকার হাতে। যেখানে তিনি পেছনে ফেলেছেন টেনিস কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল ও ক্লাব সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। একইসঙ্গে সংস্থাটির বর্ষসেরা দলের খেতাব জিতে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
গত সোমবার ফ্রান্সের প্যারিসে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কারের মঞ্চে স্ত্রী অ্যান্তোনেল্লাকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
সাড়ে তিন যুগ পর আর্জেন্টিনা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার আক্ষেপ ঘুচে কাতার বিশ্বকাপে। সেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া অধিনায়ক মেসিরও ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতা মিটে যায়। এরপর বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট এবং ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারও জেতেন সর্বোচ্চ সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই মহাতারকা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার এলো লরিয়াস পুরস্কার। চলতি মৌসুমে ব্যক্তিগত অর্জনের ষোলআনা পূর্ণ করতে মেসির সামনে বাকি কেবল ব্যালন ডি’অর।
ফুটবলারদের মধ্যে একমাত্র মেসি-ই এই পুরস্কার জিতেছেন। এর আগে ২০২০ সালে পুরুষ বিভাগে লুইস হ্যামিল্টনের সঙ্গে যুগ্মভাবে সেরা হয়েছিলেন তিনি। এবার জিতে আরেকটি অনন্য অর্জন ধরা দিলো আর্জেন্টাইন মহাতারকার হাতে।
লরিয়াস অ্যাওয়ার্ড অর্জনে আপ্লুত মেসি প্যারিসিয়ান ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। নিজের এই অর্জনের কৃতিত্ব জাতীয় ও ক্লাব সতীর্থদের দিয়েছেন মেসি। ক্রীড়াঙ্গনের ‘অস্কার’খ্যাত লরিয়াস মেসিকে এবার রেকর্ড ৭ম বারের মতো মনোনয়ন দেয়। খেলাধুলায় ব্যক্তিগত ও দলীয় অবদানের ভিত্তিতে মোট ছয়টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় এই পুরস্কার।