চলতি বছর ইতিহাদে কোনো ম্যাচ হারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। এছাড়া সাম্প্রতিক ফর্মটাও কথা বলছিল তাদের হয়ে। তবে প্রতিপক্ষ দলটার নাম যখন রিয়াল মাদ্রিদ, তখন হতে পারতো যে কোনো কিছুই। তবে দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে পাত্তাই পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণের ঝড় তুলে প্রথমার্ধেই দুবার জালে বল পাঠান সিটির পর্তুগিজ তারকা বার্নাদো সিলভা। বিরতির পর রিয়াল ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া থাকলেও গোল ব্যবধান আরও বেড়েছে কেবল। সিলভার জোড়া গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে আত্মঘাতী গোল করেন মিলতাও। শেষ দিকে সিটির চতুর্থ গোলটি করেন হুলিয়ান আলভারেস।
গত বুধবার দিবাগত রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ৪-০ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওয়ালার দল। প্রথম লেগ ১-১ ড্র হওয়ায়, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ অগ্রগামিতায় তিন মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নিলো ইংলিশ ক্লাবটি।
ফিরতি লেগের আগে সিটির সম্ভাব্য নায়কদের তালিকায় হলান্ড-ডি ব্রুইনাদের আশপাশেও ছিল না সিলভারের নাম। কিন্তু ঘরের মাঠে যেন সব আলো কেড়ে নিলেন পর্তুগিজ এই ফুটবলার। ম্যাচের প্রথমার্ধে তার জোড়া গোলই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে ডি ব্রুইনার পাস থেকে ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়ে জোরালো শটে জালভেদ করেন সিলভা। এক গোল হজমের পর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা চালায় রিয়াল। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ডি-বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে টনি ক্রুসের রকেট শট বারে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয়। তবে ক্রুস ব্যর্থ হলেও পরের মিনিটে ঠিকই পেরেছেন সিলভা। ইলকাই গুন্দোয়ানের শট মিলিতাওয়ের গায়ে লেগে ফিরে আসলে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে যান সিলভা। হেড করে বলকে দ্বিতীয়বারের মতো জালের ঠিকানা দেখাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডারকে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গতি বাড়ায় বেনজেমা-ভিনিসিউসরা। তবে কাঙ্খিত গোল মিলছিল না। উল্টো আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান বাড়ান মিলিতাও। এরপর শেষ দিকে সিটির হয়ে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন, বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা জুলিয়ান আলভারজে।