লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে সৌম্য সরকারের অভিষেকটা ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। যদিও সেটা ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক ঘটে ২০১৫ সালে। তবে সে সময় যেমন প্রত্যাশা করে স্কোয়াডে ভেড়ানো হয়েছিল তাকে তেমন ফলাফল এনে দিতে পারেননি দলকে। অবশ্য পরবর্তী সময়ে তিনি টাইগার এই পেস অলরাউন্ডার নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে বেশ কয়েক বার। তিনি যে ম্যাচে ছন্দে থাকবেন দলের হয়ে জয়ের জন্য অর্ধেক কাজ একাই করে দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।
কিন্তু রানের বাইরে থাকেন যখন সে সময় লম্বা সময় ধরেই তাকে সংগ্রাম করতে দেখা যায় রান পেতে। যেমনটা দেখা যাচ্ছে সম্প্রতি সময়ে। তবুও তিনি রয়েছেন চলমান নবম বিশ্বকাপে টাইগারদের স্কোয়াডে। তবে সৌম্য আশাবাদী যে, তিনি এবার নিজের ক্যারিয়ারের সেরা বিশ্বকাপ আসর খেলবেন পাশাপাশি রাঙাতে চান ২০২৪ সালটাকেও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে বিসিবির আয়োজন ‘গ্রিন রেড স্টোরি’-তে এমনটি জানান সৌম্য। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো বিশ্বকাপই (খেলা) একটা গর্বের বিষয়। খেলোয়াড় হিসেবে এই টুর্নামেন্টে খেলা সবারই স্বপ্ন। তো যেভাবে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলেন ২০১৫ সালে (ওয়ানডে) সে রকমই প্রতিভার অনুভূতি কাজ করে। চেষ্টা করব, ২০২৪ সালটায় যেন আমার জন্য স্মরণীয় কিছু করতে পারি এবং আমার পাশাপাশি দলকেও ভালো কিছু একটা উপহার দিতে পারি।’
এর আগে ২০১৬ সালে ক্যারিয়ারে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেন সৌম্য সরকার। এবার তিনি এই টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ আসরে খেলার অপেক্ষায়। যদিও এই টুর্নামেন্টে আগের তিন বিশ্বকাপ ভালো কাটেনি তার। সব আসর মিলিয়ে ১৫ ম্যাচে মাত্র ১০.০৬ গড় ও ১০০ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন ১৫১ রান। সর্বোচ্চ ইনিংসটি স্রেফ ২১ রানের। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি শূন্য রানের ইনিংসও।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন ব্যাটসম্যানের জন্য রানটাই গুরুত্বপূর্ণ। যেখানেই রান করুক, তার আত্মবিশ্বাসটা বাড়াতে সাহায্য করে। রান না করলে কখনো একজন ব্যাটসম্যানের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয় না। তো রান করতে পারলে অবশ্যই মানসিকভাবে অনেক সাহায্য করবে। তার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে খেলার সবার ঐরকম অভিজ্ঞতা নেই। যেসব মাঠে খেলব, ঐটাতেও আমাদের তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তো যত দ্রুত আমরা এই জায়গাতে মানিয়ে নিতে পারব, ততই আমাদের জন্য এবং দলের ভালো হবে।’
পাশাপাশি অতীতের ব্যর্থতা কাটিয়ে এবারের আসরে পরিসংখ্যান বদলাতে চান সৌম্য। বলেন, ‘আগের দুটি বিশ্বকাপে তেমন ভালো কিছু করিনি। তাই ২০২৪টা স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’ যদিও টুর্নামেন্টের আগে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
এবারের বিশ্বকাপে টাইগারদের লক্ষ্য নিয়ে সৌম্য বলেন, ‘আমি সবসময়ই দলকে উঁচু স্থানে দেখি। স্বপ্ন বড় দেখি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সব সময়েই বড় স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি। আমার লক্ষ্য…কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল আমি বলব যে, না ফাইনাল খেলব। তারপর ফলাফল তো পরে আসবে কারণ সেটা আমরা মাঠে খেলব নাকি খারাপ খেলব তার ওপর নির্ভর করবে। কিন্তু প্রত্যাশা বড় রাখাটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’