নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জেসমিন বেগম এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি, তাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শহরের খানঁপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরআগে রোববার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার লাকী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জেসমিন বেগম চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার দশআনী গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে। তিনি লাকী বাজার এলাকায় স্বামী আলী হোসেনের বাড়িতে দুই সন্তানসহ ছিলেন।
জানা গেছে, জেসমিন বেগমের চারভাই প্রবাসী হওয়ায় তার কাছে নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন স্বামী আলী হোসেন। এর আগেও তাকে টাকার জন্য মারধর করা হলে তিনি তার মেজো ভাইকে ঘটনা জানান। এ নিয়ে রাতে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। রোববার রাতে জেসমিনের পরিবারকে আলী হোসেন ফোন করে জানায়, জেসমিন মারা গেছে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে জেসমিনের পরিবারের লোকজন এসে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের বোন ও বড় ভাইয়ের দাবি, তার বোনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারা জানান, তার বোন জেসমিন ৭ মাসের গর্ভবতী থাকা অবস্থায়ও তার উপর টাকার জন্য নানাভাবে নির্যাতন চালাতো স্বামী ও তার স্বজনরা। এরপর ৩ ধাপে ৮ লাখ, ৫ লাখ ও ৭ লাখ টাকা দিয়েও তার উপর নির্যাতনের খড়গ বন্ধ করতে পারেননি। এছাড়াও কিছুদিন আগে আলী হোসেনের নামে যে টাকা রাখা হয়েছে তা জেসমিনের বাপের বাড়ির থেকে টাকা নিয়ে রেখেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরে আজম মিয়া জানান, রাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে নগরীর খানপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তবে তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।