তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সেবার আওতা বাড়ানোর বিকল্প নাই। আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম ও হয়রানি রোধে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম (আইডিটিপি) চালু করা হবে বলেও তিনি জানান।
আজ রোববার আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি মিলনায়তনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রবর্তিত “বার্ষিক কর্মসম্পাদন’’ এপিএ বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগ সেরা নির্বাচিত হওয়ায় এপিএ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সকল সরকারি সেবা জনগণের দৌড়গোড়ায় পৌছে দেয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল দর্শন। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগের এ অর্জন আগামীদিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে আরও বেশি কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। তিনি বলেন প্রযুক্তির সুফল জনগণের কল্যাণে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। দেশের প্রযুক্তি খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্ড্রাষ্ট্রি প্রমোশন, ই-গভর্ন্যান্স ও তৃণমূল পর্যন্ত কানেক্টিভিটি এ ৪টি স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছে সরকার।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের কারণেই এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে আছে। তিনি বলেন বিগত ১২ বছরে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যথাযথ অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে কোভিড-১৯ মহামারিতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদনে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪.৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।