পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিকে কেন্দ্র করে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ঢাকাবাসী। এতে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মহাসড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মহাসড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা।
শনিবার (১৭ জুলাই) ভোর ছয়টা থেকে সকাল সাড়ে ৯ পর্যন্ত মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।
যানজট নিয়ন্ত্রণে মহাসড়কটিতে এক লেন বন্ধ রেখে অপর লেনে চালানো হচ্ছে যানবাহন। বন্ধ থাকা লেনে ঘন্টার পর ঘন্টা থেমে রয়েছে গাড়ি। এতে করে যারা প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজাহান আলী বলেন, ঈদে ঘর মুখো মানুষ ও গরু বোঝাই যানবাহনের চাপ বাড়ায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মোসাদ্দেক আলী জানান, নলকা সেতুই যানজটের অন্যতম কারণ, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গণপরিবহন চালু হয়েছে। রাস্তায় গাড়ির প্রচুর চাপ রয়েছে। এর মধ্যে নলকা সেতুটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ার কারণে সেখানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। এ সকল কারণে যানজট প্রায়ই লেগে থাকছে। অন্যদিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনা এলাকায় রাস্তা খারাপ হওয়ায় সেখানে কমবেশি যানজট থাকছে।
মহাসড়কটিতে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে কখনো ঢাকাগামী লেন বন্ধ রেখে উত্তরবঙ্গগামি লেন আবার কখনও উত্তরবঙ্গগামী লেন বন্ধ রেখে ঢাকাগামী লেনে যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে, বন্ধ থাকা লেনে ঘন্টার পর ঘন্টা থেমে থাকছে গাড়ি। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মহাসড়ক ঘর মুখো মানুষ ও চালকেরা।