১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বরগুনার পাথরঘাটা হানাদারমূক্ত হয়। তিনদিক থেকে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভোর রাতে পাথরঘাটা আক্রমন করেন। প্রত্যুষে পাথরঘাটা বিজয় লাভ করে বলে জানালেন তৎকালিন একটি দলের কমান্ডার ও মূক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন।
১৯৭১সালের ০১ ডিসেম্বর রাতের প্রথম প্রহরেই আক্রমনের পরিকল্পনা ছিল। পরে তিনটি ট্রুপে ভাগ হয়ে ভোররাতে আক্রমন করি। প্রথমে পার্শ্ববর্তী বিষখালী নদীর অপরতীর থেকে আক্রমন শুরু হয়। পরে শহরের তিন দিক থেকে এক যোগে ফায়ারিং শুরু হলে রাজাকার সহ পাকিস্তান হানাদারবাহিনীর দোসররা পলিয়ে যায়। ২ ডিসেম্বর পাথরঘাটা হানাদানার মুক্ত হয় এমনটাই জানান মুক্তি যোদ্ধা কামাল উদ্দিন।
এদিকে কাক ডাকা ভোরে বিষখালী নদী পার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিছু রাজাকার,আলবদর শান্তি কমিটির সদস্য ও তাদের দোসরদের আটক করে পাথরঘাটা থানার উন্মুক্ত মাঠে গন আদালতে তাদের হাজির করা হয়। গনআদালতে যুদ্ধকালিন সময়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ অপরাধ করেছে তাদের গুলি দিয়ে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে হাতেম রশেদী,সেকান্দার ডাক্তার,হাসেম হাজী অন্যতম।
কামাল উদ্দিন জানান, এলাকাটি ছিল ৯ নম্বর সেক্টরের বুকাবুনিয়া সাব সেক্টরের আওতায়। তাদের কমান্ডারছিল টু এইচসি আলমঙ্গীর। পাথরঘাটা হানাদারমূক্ত করণে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সাবেক সেনা সদস্য এমএ খালেক। স্কুল শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কাঠালতলী ইউনিয়নের নুর হোসেন তালুকদার , তার ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম তালুকদার আরো অনেকে।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি