দৌলতদিয়া থেকে বাঘাবাড়ি নৌপথে যমুনা নদীতে নাব্য সংকট এর কারণে দৌলতদিয়ায় আটকে পড়ছে অন্তত ২৫টি জাহাজ। জাহাজ চলাচলে নূন্যতম ১০ ফিট গভীরতার প্রয়োজন হলেও শুষ্ক মৌসুমে পানির গভীরতা ৭ ফুটের নিচে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে সরাসরি পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়তে পারছে না।
দৌলতদিয়া ঘাটে আটকে পড়া জাহাজ থেকে ছোট ছোট ট্রলারে করে মালামাল আনা হচ্ছে বাঘাবাড়ি বন্দরে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাঘাবাড়ি ঘাট নৌযান লেবার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
জাহাজ চালক ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে ১০ ফিট পানির গভীরতার প্রয়োজন হলেও শুষ্ক মৌসুমে এই পথে পানির গভীরতা ৭ ফুটের নিচে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে নদীর বেড়া উপজেলার পেঁচাকোলা থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত। এ অংশের কয়েকটি স্থানে পানির গভীরতা ৫ থেকে ৭ ফিটে এসে দাঁড়িয়েছে। এসব জাহাজ পার হতে গিয়ে আটকে পড়ছে ডুবোচরে। এ কারণে কয়েক দিন ধরে ২৫টি সার, সিমেন্ট, তেলসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে ভিড়তে পারছে না। এ অবস্থায় আটকে পড়া জাহাজ থেকে ট্রলার ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে কিছু কিছু পণ্য খালাস করে বাঘাবাড়ি বন্দরে আনা হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
এই নৌ-পথ দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি জাহাজ চলাচল করে থাকে কিন্তু পানির গভীরতা না থাকায় জাহাজগুলো দৌলতদিয়ায় আটকে থাকছে। যে কারণে ১০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টনের জাহাজগুলো বাঘাবাড়ি বন্দরে সরাসরি আসতে পারছে না।
প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুমে নাব্য সংকট দেখা দেয়। ড্রেজার করে তা অপসারণ করা হয়। এ বছরও ড্রেজার কাজ চলছে।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি