রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার বড়গ্রাম এলাকায় গৃহবধূ রোজিনা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন, নিহতের স্বামী সঞ্জিত সাহা ওরফে মো. আকাশ (৩১) ও মালা সাহা (২৫)।
পুলিশ বলছে, স্বামীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার ক্ষোভ থেকে কাচের টুকরো দিয়ে সতীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন মালা সাহা।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জ থানার খোলামোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত কাচের টুকরো ও ছদ্মবেশ ধারণের ব্যবহৃত বোরখা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাহবুব-উজ-জামান।
মো. মাহবুব-উজ-জামান বলেন, নিহত রোজিনা দেড় বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন সঞ্জিত সাহা ওরফে মো. আকাশ নামের এক যুবককে। সনাতন ধর্ম থেকে মুসলিম হয়ে রোজিনাকে বিয়ে করে কামরাঙ্গীচর এলাকায় বসবাস শুরু করেন তারা। তবে সঞ্জিত সাহার পূর্বের বিয়ে ও প্রথম স্ত্রীর ঘরে সন্তান থাকার তথ্য নিহত রোজিনার কাছে গোপন করেন। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় বিষয়টি আকাশের দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা জেনে যাওয়ায় পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় কলহ হতো। সঞ্জিতের প্রথম স্ত্রীর ঘরে ১৫ ও ৮ বছরের দুই সন্তান ছিলো। তবে তিনি তাদের ভরণ পোষণ দিতেন না। এ নিয়ে মালা সাহা স্বামীর প্রতি ক্ষুব্ধ হন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মালা সাহা কাচের টুকরো দিয়ে রোজিনাকে গলাকেটে হত্যা করেন।
লালবাগ বিভাগের ডিসি আরও বলেন, এই ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে মামলা করলে তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে হত্যায় জড়িত নিহত রোজিনার স্বামী ও প্রথম স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিসি মাহবুব বলেন, গোলাপি রংয়ের বোরখা ও কালো রংয়ের হিজাব পরে ছদ্মবেশে রোজিনাকে হত্যা করে মালা সাহা। এ ঘটনার পর মালা সাহা কেরানীগঞ্জ থানার খোলামোড়া এলাকায় গিয়ে আত্মগোপন করেন।