উজান থেকে আসা ঢলে আবারও বগুড়ায় যমুনা নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বগুড়ার সারিাকান্দি পয়েন্টে শনিবার সকাল ৬ টায় বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে হচ্ছিল। বাঙালী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও শনিবার সকাল ৬ টায় বিপদসীমার প্রায় আড়াই সেন্টিমিটর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে বগুড়া পানি উন্নযন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন। যমুনা ও বাঙালী নদীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় মানুষ চতুর্থ দফা বন্যার আতংকে ভুগছে। যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় ৭৬৫ হেক্টর জমির রোপা আমন, শাক-সবজি, মাশকলাই, মরিচ একবারে ক্ষতিগ্রস্ত হেেছ বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক দুলাল হোসেন।
অপর দিকে বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার নারচী, কুতুবপুর, ফুলবাড়ী, ভেলাবাড়ী, সারিয়াকান্দি সদর ও হাটশেরপুর ইউনিয়নের বাঙ্গালী নদীর তীরবর্তী এলাকায় মরিচ , শাকসবজি, রোপা আমন, মাসকলাই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে । বাঙালী ও যমুনা দনীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সারিয়াকান্দির চরগোদাড়াড়ী, গোদাগাড়ী, গণকপাড়া গাছবাড়ী, হাটশেরপুর ইউনিয়নের চরবরুরবাড়ী, সদর ইউনিয়নের পাইকপাড়া,কুতুবপুর ইউনিয়নের চর মাছিরপাড়া, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের বাঁশহাটা এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।ৎ
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া জানান, যমুনা নদীতে চতুর্থদফা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী বেশ কিছু বসতবাড়ি ডুবে গেছে। ২টি স্কুল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। (সুত্র:বাসস)