চাঁপাইনবাবগঞ্জ এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদে ইউরোপের জনপ্রিয় ফল মাস্কমিলন চাষ করে সফল হয়েছে মাহবুবুর রহমান । ৩ বছর গবেষণা করে এই ফলটির আবিস্কার করেন তিনি। ফলটি যেমন সুস্বাদু তেমনি ডিম্বাকৃতির ও বেশ বড় আকারের হয়ে থাকে। চারা লাগানোর ১১০-১৩০ দিনের মধ্যে গাছে ফল ধরা শুরু হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত তিন বছর আগে জাপান থেকে একটি উন্নত প্রজাতির মাস্কমিলন বীজ সংগ্রহ করে নিয়ে আসে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল। আর এই প্রজাতির বীজ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন গবেষক মাহবুবুর রহমান। গবেষণার একটি পর্যায়ে সফলতা অর্জন করেন। গোলাকার এই ফলটির গায়ে ডরাকাটা দাগ রয়েছে। ফলটি যেমন সুস্বাদু তেমনি সুমিষ্টতায় রসায়ালো ও বেশ বড় আকারের হয়ে থাকে। বাঙ্গী ফলের চাহিদা মেটাতেই মাস্কমিলন ফলটি আবিস্কার করেন তিনি। তবে ফল গবেষক বলছেন, ফাইবার সমৃদ্ধ শর্করা রক্তের গ্লকোজের মাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে বিধায় এই ফলটি ডায়বেটিক রোগীদের জন্য উপকার। রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি ভিটামিন এবিসি পাওয়া যাবে।
এদিকে মাস্কমিলন ফলটি বরেন্দ্রে অঞ্চলের জমিতে চাষ করলে ৫-৬টি ফুল এবং ট্রবে বা বাড়ির ছাদে চাষ করলে ২-৩টি ফুল রাখলে ভাল ফল আশা করা যায় বললেন এই গবেষক।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সলর বলছেন, এই ফলটি জমি, ট্রব ও বাড়ির ছাদে লাগিয়ে সহজেই নিজের চাহিদা মিটিয়ে আয় করা যাবে অর্থ এবং দুর হবে বেকারত্ব।
নতুন প্রজাতীর এই ইউরোপিয়ান ফল একদিকে যেমন অনেক সুস্বাদু অণ্যদিকে অনেক লাভবান । তাই এবছর থেকেই বানিজ্যিকভাবে কৃষকদেও মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হবে এই ম্যক্সমেলন ফল । এমনটাই জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি