অসামান্য অভিনয় দক্ষতায় তিনি দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। যেকোনো চরিত্রেই যেনো অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা তিনি। তার অভিনীত ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রটি গেল এক যুগের সেরা ব্যবসা সফল ছবির একটি। তিনি আর কেউ নন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
মনপুরা ছবিটি দিয়ে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ব্যাপক পরিসরে আলোচনায় আসেন। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সে বছরের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথমবারের মতো জিতে নেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
১৯৭৪ সালের ১ জুন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় চারুকলার ছাত্র থাকাকালীন আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে।
পরবর্তীতে অসংখ্য নাটক ও টিভি সিরিজে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করে নেন চঞ্চল। কিন্তু চলচ্চিত্রে তার প্রথম অভিষেক হয় ২০০৬ সালে রূপকথার গল্প ছবি দিয়ে। ২০১৩ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী’র টেলিভিশন ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন চঞ্চল।
২০১৬ সালে নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর সিনেমা আয়নাবাজি দিয়ে বাজিমাত করেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এই ছবির জন্য আবারও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন চঞ্চল।
অনম বিশ্বাস পরিচালিত দেবী ছবিতে চঞ্চল চৌধুরী বর পর্দায় প্রথমবারের মতো হাজির হন মিসির আলি চরিত্রে। তার অভিনীত সব সিনেমাই ব্যবসাসফল এবং দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে নতুন মাত্রা যুক্ত করা চলচ্চিত্র। তাই চঞ্চল চৌধুরীকে দেশীয় অঘোষিত সুপারস্টার বলাই যায়।
আজ এই অভিনেতার ৪৬তম জন্মদিনে বিজয় টিভির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি