জীবন ফুরিয়ে যায় জীবনের নিয়মেই। কিন্তু সময়ের জালে বন্দি হয়ে যায় কীর্তিমান। নিজের অস্তিত্বের অমলিন আলোতে নিজেকে চিরঞ্জীব করে রাখে। মুক্তিযুদ্ধ, জীবনযুদ্ধ সব সামলিয়ে যেখানেই তরুণ প্রাণের জোয়ার উঠেছে, সেখানেই ছুটে গেছেন বাংলা রক গানের আইকন আজম খান। আজ পপগুরু আজম খানের চলে যাওয়ার ৯ বছর।
৬১ বছর বেঁচেছিলেন আজম খান। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যেমন লড়েছেন তেমনি মৃত্যুর সঙ্গে বাজি ধরে লড়ে গেছেন ক্যানসারের বিরুদ্ধেও। বাংলার মানুষ তাকে বিনম্রচিত্তে ‘পপগুরু’ বলে মানেন।
দেশীয় ফোক ফিউশনের সঙ্গে পাশ্চাত্যের যন্ত্রের ব্যবহার করে বাংলা গানের এক নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন আজম খান। অনেকে তাকে বাংলাদেশের বব মার্লি বা বব ডিলান বলেও সম্মানিত করে থাকেন।
১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন আজম খান। কুমিল্লার সালদায় প্রথম সরাসরি যুদ্ধ করেন। আজম খান ছিলেন দুই নম্বর সেক্টরের একটি সেকশনের ইনচার্জ। তিনি সেকশন কমান্ডার হিসেবে ঢাকা ও এর আশপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণে অংশ নেন।
১৯৮২ সালে প্রকাশ হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘এক জনম’। তিনি একে একে ১৬৮টি একক গান ৩০টি মিক্সস গানসহ ১৪টি অ্যালবামের মাধ্যমে শ্রোতাদের অসংখ্যা জনপ্রিয় গান উপহার দেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর তার ব্যান্ড ‘উচ্চারণ’ দেশব্যাপী সংগীত জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। গানের বাইরে নাটক ও সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
২০১১ সালের ৫ জুন বাংলা রক আইকন, ৭১’র গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ও কিংবদন্তী আজম খান ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলার এই পপসম্রাট।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি