১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘নষ্ট নগর নষ্ট স্বভাব’ অ্যালবামে গান গাওয়ার মধ্যদিয়ে সঙ্গিতাঙ্গনে প্রথম আত্মপ্রকাশ পথিক নবীর। এই অ্যালবামের সময় তিনি পরিচিত ছিলেন নবী নামে। অ্যালবাম প্রকাশের বছর তিনেক পর প্রথম কনসার্টে গান করেন তিনি।
‘অচেনা পথিক’ অ্যালবামের মধ্য দিয়ে পথিক নবী নামে পরিচিতি পাওয়া শুরু হয় তার। ২০০৩ সালে প্রকাশিত এই অ্যালবামের ‘আমার একটা নদী ছিল জানল না তো কেউ’ গানটি বাজতে শুরু করে দেশের আনাচকানাচে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি পথিক নবীকে।
পেশাদার গানের জগতে কয়েক বছর পার করে ৩৫টি অ্যালবামে গান করার পর পথিক নবী ভেবেছেন তাঁকে মিউজিক্যালি আরও বেশি শিক্ষিত হতে হবে। তাঁর মনে হয়েছে অন্যদের কাছ থেকে পিছিয়ে আছেন তিনি।
গানের সঙ্গে প্রযুক্তির যে যোগসূত্র, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে নিজেকে। শিখতে হবে সংগীতায়োজনের কাজ। তাই নিজের ইচ্ছা থেকেই নতুন গান প্রকাশ থেকে দূরে সরে গেলেন ‘আমার একটা নদী ছিল’–খ্যাত সংগীতশিল্পী পথিক নবী।
সংগীতের যে শিক্ষাটা নিতে গান প্রকাশ থেকে দেড় দশক ধরে দূরে আছেন, সেই শিক্ষাটা ভালোই হয়েছে মনে করছেন পথিক নবী। তবে এখনো শিখছেন জানিয়ে পথিক বলেন, ‘আগে যন্ত্র সম্পর্কে খুব একটা ধারণা না থাকলেও এই সময়টাতে আমি তা আয়ত্ত করে নিয়েছি।’ পাশাপাশি গান লেখার কাজও করে গেছেন বিরতিবিরতিতে।
নতুন গান প্রকাশ থেকে দূরে থাকলেও নিজের মতো করে স্টেজ শো চালিয়ে গেছেন তিনি। গানই তাঁর জীবন, এই গান থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া সম্ভবও না। নতুন ২০-২৫ টা গান তৈরির খবর জানিয়ে তিনি বলেন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গানগুলো প্রকাশ করবেন। বহু বছর যে গান প্রকাশ করেননি, এবার তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিতে পারবেন বলে আশা ব্যাক্ত করেন এই শিল্পী।
মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ভালোই আছেন পথিক নবী। ঘরের মধ্যে একটা বড় লাইব্রেরি গড়ে তুলেছেন। সেখানে দিনের একটা সময় কাটান। করোনার এই সময়টায় ঘরবন্দী থাকলেও লিখছেন নতুন গান ও বই।
পথিক নবীর গাওয়া ‘পাখি উড়িয়া উড়িয়া যায়’ ও সবার কাছেই চেনা। বোহিমিয়ান জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই শিল্পী তিন বছরে ‘কষ্টের গায়ে লাল জামা’ ও ‘বাঁকা চাঁদ’ সহ ৩৫টি একক ও মিক্সড অ্যালবামে গান গেয়েছেন।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি