বিশ্বের একেক দেশের একেক খাবার। কত বৈচ্যিত্র খাবার। ঐতিহ্যবাহী সব খাবারের নাম শুনলেই জিভে জল আসে নিশ্চিত। খাবারে কত ধরণ এটাও বিস্মিত করার মতো। তবে যে দেশে যেই খাবারই থাকুক না কেনও ঐতিহ্যের খাবারে সবস্থানেই প্রাধান্য পেয়েছে কার্বোহাইড্রেড বা শর্করা জাতীয় খাবার। বাংলাদেশের বাইরে ঘোষণা দিয়ে মাছ-ভাত খাওয়ার দেশও কম। সমুদ্র বা নদী ধারের সব দেশই কম-বেশি মাছ খেয়ে থাকে। তবে মাংসের চাহিদা ভীষণ বেশি। কাবাব, স্টেক কত পদের খাবার তার ইয়ত্তা নেই।
ভারত বিশ্বের সর্ববৃহত চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে একটা হলেও বৈশ্বিকভাবে দেশটির জনপ্রিয় খাবার কিন্তু ‘সাউথ ইন্ডিয়ান থালি’। মধ্যপ্রাচ্য থেকে পশ্চিমা বিশ্বের সব স্থানেই থালি খুব চলছে। এখানে ভাত- রুটি, মিষ্টি, মাছ, মাংস, সবজ্বি সবই থাকে। তবে জনপ্রিয় খাবারের তালিকায়
পাকিস্তানে চাল উৎপন্ন হলেও তাদের প্রধান খাবার রুটি। রুটি এবং কাবাব পাকিস্তানের নিয়মিত খাদ্য।
পাকিস্তানের মতো আফগানিস্তানেও রুটির প্রচলন। কিন্তু আফগান বিরিয়ানীর স্বাদ অনন্য। মধ্যপ্রাচ্যের সর্বাধিক আফগান বিরিয়ানীর রেস্তোরাঁ রয়েছে।
চোখ বন্ধ করে বলতে পারবেন জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার সুশি। অর্থাৎ মাছ-ভাত। এমনিতেও নিয়মিত মাছে-ভাতে জাপানি দেশটির জনগণ। জাপানের মাছ ও ভাত নিয়মিত খাদ্য। দেশটির বাইরে অন্যান্য দেশে জাপানি রেস্তোরাঁয় মাছ-ভাত প্রধান খাদ্য হিসেবেই চলে।
চীনাদের খাদ্যাভ্যাস জাপানিদের মতোই। তবে তাদের জনপ্রিয় খাবারের শীর্ষে রয়েছে ডাম্পলিং বা মোমো।
ইংরেজরা বিখ্যাত তাদের নাস্তার জন্য। তারা নাস্তা খায় রাজার মতো। সকাল বেলায় রাজার খাবারে থাকে সসেজ, ডিম পোচ, বেকন, বিন, আর কখনও সবজি ভাজা। আর একটু মিষ্টি আইটেম বলতে ব্রাউনি আর প্যাস্ট্রি থাকবেই থাকবে।
ইতালি মানেই পিজ্জা। এটি নিয়ে কোনও কথা হবে না। মরুভূমি থেকে নদীমাতৃক বাংলাদেশ কিংবা ইউরোপ- আফ্রিকা অথবা পশ্চিমা দেশগুলো- সবাই মুগ্ধ পিজ্জার মোহে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে নিজস্ব খাবার রয়েছে শুধু মিসরের। নতুবা অন্যান্য সবদেশে বিদেশি খাবারের চাহিদা বেশি। মিসরের নিজস্ব খাবারের তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে কুনাফা। সেমাই দিয়ে তৈরি এক ধরনের মিষ্টি। তবে হরেক পদের ডালের তৈরি খাবারের সঙ্গে সমুচা, সিঙ্গারাও বেশ চলে।