ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ক্ষমতা গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। আর এই সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এছাড়া লিখিত বক্তব্যে, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আনার সুপারিশ করেছে বিএনপি। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস, বিরাজমান রাষ্ট্র পরিস্থিতি বিষয়ে পরামর্শ শীর্ষক একটি লিখিত বক্তব্য দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী রক্তঝরা আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ এর জুলাই-আগষ্টের অভূতপূর্ব ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বৈষম্যহীন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার ভিত্তিক একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের স্বপ্ন পূরণের জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষমাণ।
মির্জা ফখরুলের সাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য-মন্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে অতি সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকসমূহ ভেঙে ফেলার মতো স্পৃহা দৃশ্যমান হয়েছে।
পতিত ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করে যাচ্ছে বলে দাবি করে ড. ইউনূসকে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে বিএনপি বলে, প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের সহায়তায় দেশের বাইরে থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এই তৎপরতা চালিয়েই যাবে। সুতরাং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা দরকার।