১৯৭০ সাল থেকে অদ্যাবধি এ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তার ছেলে মাহবুব উর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (ঈগল) পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৫ ভোট। মাহবুব উর রহমান ৩৬ হাজার ৬৯ ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেন।
চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে দীর্ঘ ৫৪ বছর পর আওয়ামী লীগের এমপি পরিবর্তন হয়েছে। তবে একই ঘরে এই পদ রয়ে গেছে। বাবার পরিবর্তে স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ছেলে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ৮টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন তার কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে মোট ৩৯.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। মিরসরাইয়ে ১০৬টি কেন্দ্রে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬২৫ জন। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৭। বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪৫। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬২।
নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত এমদাদ হোসাইন চৌধুরী (লাঙ্গল) পান ৪০৮ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মনোনীত আবদুল মান্নান (চেয়ার) পান ২০৫ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত মো. ইউসুফ (টেলিভিশন) পান ২০০ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বিএসপি) মনোনীত মো. নুরুল করিম আফছার (একতারা) পান ১৯৯ ভোট ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) মনোনীত শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী (হাতপাঞ্জা) পান ৪৬ ভোট।
মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় পর মিরসরাইয়ে আমরা নতুন এমপি পেয়েছি। দীর্ঘ ৫৪ বছর আমাদের প্রিয় অভিবাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ছিলেন। তিনি মিরসরাইকে অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তার মেজ ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেলকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিয়েছে দল। ৭ জানুয়ারি তাকে মিরসরাইবাসী বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। আমরা ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আশা করছি এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।