কুষ্টিয়ার কুমারখালির কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় নিহত আবরারের পরিবারের খোজ নিতে গ্রামের বাড়িতে যান বুয়েট উপাচার্য ।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে বাড়ির গেট থেকেই ফিরে যেতে হয় তাকে। এ সময় বুয়েট উপাচার্য জোরপূর্বক বাড়িতে যেতে চাইলে পুলিশের ওপরও চড়াও হয় এলাকাবাসী। নিহত আবরার ফাহাদের পরিবারের খোঁজখবর নিতে বুধবার বিকেলে কুমারখালির রায়ডাঙ্গায় পৌছান বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
আবরারের কবর জিয়ারত করেন তিনি। পরে, উপাচার্যের ওপর আরোপ করা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের দায়সারা জবাব দেন উপাচার্য। সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাত শেষে উপাচার্য আবরারের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে, পথ রোধ করে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
এ সময় উপাচার্য বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে উপাচার্যের গাড়ীবহর ঘিরে ধরে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্তায় উপাচার্যের গাড়ী ফিরিয়ে দেয় এলাকাবাসী। পরে, উপাচার্য চলে গেলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা। এ সময় উপাচার্যের পদত্যাগসহ পৈশাচিক হত্যাকান্ডের নিন্দা জানানো হয়। নেক্কারজনক এমন হত্যাকান্ডের পূনরাবৃত্তি হবে না আর। সেই সাথে সুষ্ঠ বিচার পাবে আবরারের পরিবার, এমনটাই দাবি সবার।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি