কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ সখের বসে দুই বছর আগে, স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ৪০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ করেন। কৃষি বিভাগ, তাকে নামমাত্র মুল্যে কিশোরগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার থেকে তিন শতাধিক ড্রাগন ফলের চারা দিয়ে সহায়তা করেন। চারা রোপনের দুই বছরের মাথায় ড্রাগনের চারায় ফুল ও ফল ধরে।
প্রতি কেজি ফল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় জমি থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা। এতে করে লাভের আশা দেখছেন আব্দুল লতিফ।
এ উপজেলার মাটি ড্রাগন ফল চাষের জন্য উপযোগী। এর বিস্তৃতি এখন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। পুষ্টি ও ঔষধি গুনসমৃদ্ধ ফল হওয়ায় এর কদর বেড়েছে অনেকাংশে। ড্রাগন ফল আবাদ লাভজনক হওয়ায় উপজেলায় ইতোমধ্যে অন্তত ২০ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ করা হয়েছে। অনেকে আবার বাড়িতে জায়গা না থাকায় স্কুলের ছাদেও লাগিয়েছেন চারা।
প্রথমদিকে, অপরিচিত এ ফল চাষে অনীহা প্রকাশ করলেও পরিশ্রম কম ও লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে এর চাষ বেড়েছে ৫ গুণ।
এদিকে, কৃষি বিভাগ বলছে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের আবাদ করে বিপ্লব ঘটাতে পারেন এ উপজেলার কৃষকেরা।
মাটি ও জলবায়ু উপযোগী হওয়ায় দিন দিন বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাগন ফলের চাষ। সম্ভাবনাময় এ ফলটির আবাদ বাড়লে পুষ্টিগুন পূরনের পাশাপাশি কৃষকরা লাভবান হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নিউজ ডেস্ক/বিজয় টিভি