নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের দাবীতে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত স্ত্রী রিনা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপতালে মারা গেছেন।
শনিবার সকালে উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৮টার দিকে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিনা বেগমের মৃত্যু হয়। নিহত রিনা বেগম সদর উপজেলার শিবদুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে।
ঘটনার পর স্বামী ও শ্বশুড় শ্বাশুড়ী সহ বাড়ীর সবাই পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহত রিনা বেগমের বাবা মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে জামাই রনি সরদার ও তার বাবা মা সহ ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, নাটোর সদর উপজেলার শিবদুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে রিনা বেগমের বিয়ে হয় গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পুরুলিয়া গ্রামের হাবিল সরদারের ছেলে রনি সরদারের সাথে। বিয়ের পর থেকেই রিনার স্বামী রনি সরদার ও তার পরিবারের লোকজন দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে।
মাঝে মাঝেই রিনাকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করা হতো। এরই এক পর্যায়ে শনিবার সকালে সেই দাবীকৃত টাকা নিয়ে রিনার সাথে স্বামী সহ বাড়ীর সকলের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই একপর্যায়ে স্বামী রনি সরদার ধারালো ছোড়া দিয়ে রিনা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে।
পরে বিষয়টি এলাকাবাসির মাধ্যমে জানতে পারে রিনার বাবা। এরপর রিনার শ্বশুড়বাড়ীতে গিয়ে আহত অবস্থায় রিনাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রিনাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে রিনা বেগম মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৫জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ততরা পলাতক রয়েছে। পুলিশ অভিযক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত ছোড়াটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি