দালাল আর রিপেজেনটিভদের দখলে টঙ্গী সরকারি শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল। আধুনিকায়ন করা হলেও এই সরকারী হাসপাতালটিতে বাড়েনি সেবার কোন মান। রোগীদের ২-৩ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে নিতে হয় চিকিৎসা সেবা। তাছাড়া দিনের বেলা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা কোনোরকম সেবা পেলেও রাত হলেই পাল্টে যায় এর চিত্র।
সন্ধ্যার পর হাসপাতালের সামনে ও পিছনের খালী জায়গাগুলো মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের দখলে চলে যায়। দিনের পর দিন হাসপাতালটির সেবার মান কমে যাওয়ার আশেপাশের প্রাইভেট মেডিকেল গুলোতে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের। রোগীরা বলেছেন তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে লাইনে ও ওষুধপত্র কিনতে হচ্ছে হাসপাতালটির বাহিরে থেকে।
হাসাপাতাল এলাকায় বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যও লক্ষণীয়। হাসপাতালের কিছু অসাধু চিকিৎসক মাসোহারা নিয়ে এসব কোম্পানির নিম্নমানের ওষুধের নাম প্রেসক্রিপশনে লিখে রোগীদের সাথে প্রতারনা করছেন। মাসোহারা নেওয়া চিকিৎকরা ওষুধের নাম ঠিকমতো লিখেছে কিনা তা আবার হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে রোগীদের হাত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওষুধ কোম্পানির এসব প্রতিনিধি মিলিয়েও দেখছেন। রয়েছে দালালদের আনাগোনা।
অন্যদিকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী না থাকায় হাসপাতালের ভিতরে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। ফলে গন্ধে টেকা দায়। হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব, শিশু ওয়ার্ডসহ সব জায়গাতেই থাকে নেংরা আবর্জনা। বাধ্য হয়ে রোগীদের স্বজনরাই পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। হাসপাতালে রোগীদের খাবারের মান নিয়েও রয়েছে ব্যাপক অভিযোগ। সপ্তাহের কোন দিন কোন খাবারটি রোগীদের দেওয়া হবে এবং কতটুকু পরিমাণে দেওয়া হবে এমন রুটিন বা রোস্টার থাকলেও তা মানছেন না খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
নিউজ ডেস্ক / বিজয় টিভি